
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ফাত্রাঝিরিতে একটি ইটভাটায় দেশীয় সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।এটে ইটভাটার শ্রমিক ব্যারাক ও অফিসের দরজায় ভাংচুর চালিয়ে দামী মোবাইল,মানিব্যাগ এবং শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র লুটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।এ ঘটনায় ৩ জন কমবেশী আহত হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টারদিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে উখিয়ার রাজাপালং ইউপি’র ৪ নং ওয়ার্ডের ডিগলিয়া এলাকার আবদুল আলম চৌধুরীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা আনিসুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল কালাম প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা মোহাম্মদ ভুট্রো মিয়া,একই ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি এলাকার চচিমং তংচঙ্গার ছেলে নিবং তংচঙ্গা ও একই এলাকার রবি আলমের নেতৃত্বে ৬/৭ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল।
যারা দেশীয় ধারালো অস্ত্রসজ্জিত হয়ে পরিকল্পিত এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ এনেছেন ফাত্রাঝিরিস্থ জেএসবি ইটভাটার মালিক জয়নাল আবেদিন।আহতের মধ্য আবদূর রহিম নামের একজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে।সে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি এলাকার ছুরত আলমের ছেলে এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে জানা গেছে।গুরুতর জখমী আবদূর রহিম কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।হামলার খবর পেয়ে ফাত্রাঝিরি এলাকার আবদূর রহিম সওদাগর দ্রুত ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় সংবাদকর্মী কফিল উদ্দিন সহ কয়েকজন।হামলাকারীদের বাধা দিলে তাকেও উল্টো বেধরক মারধর করা হয়।গাছের লাঠির আঘাতে বিএনপি নেতা আবদুর রহিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।হামলার সময় দুস্কৃতকারীর দল ইটভাটা শ্রমিক
মিজানের ১৮ হাজার টাকা মুল্যের একটি ভিভো মোবাইল সেট,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন’র ১৯ হাজার টাকা মুল্যের একটি রেডমি মোবাইল সেট, মোহাম্মদ নিজামের একটি মানিব্যাগ(২৩ শত টাকা সহ) ও একটি জাতীয়পরিচয়পত্র লুটে নেয়।খবর পেয়ে রাতেই ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি ঘটনাস্থলে যান।
ইটভাটার নৈশ প্রহরী ছব্বির আহমদ জানান,রাতে অতর্কিত ভাবে আনিস, ভুট্রো,নিবং তংচঙ্গা ও ররি আলমের নেতৃত্বে ৬/৭ জন ইটভাটায় অনাধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর,লুটতরাজ চালান।মোবাইল সেট, মানিব্যাগ, কাগজপত্র নিয়ে যায়।দরজায় লাথি মারেন।আবদূর রহিম নামের একজন বাধা দিলে তাকে গাছের লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে।ঘটনার প্রতেক্ষদর্শী সংবাদকর্মী কফিল উদ্দিন জানান,জেএসবি ইটভাটার মালিক জয়নাল উদ্দিন আমাকে কল করে জানায়,তার ইটভাটায় হামলা করছে,এ খবর পেয়ে আবদূর রহিম সহ ওখানে যায়।হামলাকারীদের মানা করলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলে পড়ে তারা।এ সময় আবদূর রহিম সওদাগর’কে গাছের লাঠি দিয়ে একাধিক বারি মারলে সে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
আবদূর রহিম কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।সে বেশী আঘাত প্রাপ্ত।তার পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনিসুল ইসলাম বলেন,আমি রাত দুইটায় শুনেছি একটি ইটভাটায় হামলা হয়েছে।আমি কিন্তু নিজেই ছিলাম না, ভুট্রোও আমার সাথে ছিল না।এসব কোন দুর্বৃত্তরা ঘটিয়েছে বলে ঘটনার বিষয়ে তার দায় অস্বীকার করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাশরুরুল হক জানিয়েছেন, আমি চট্রগ্রামে একটি প্রোগ্রামে আছি।বিস্তারিত জানি না।ঘটনার অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।