০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা!

রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সহিত ব্যভিচারে লিপ্ততা ও প্রবাসীর স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগে দায়েরকৃত ৭০২/২৩ মামলায় এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী।

জানা গেছে,২০২০ সালে পারিবারিক একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামু থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে পরিচয় হয়এসআই শামসুল আরেফিন তোহার সাথে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর।পরিচয় থেকে দানা বাঁধে পরকিয়া প্রেমের। দীর্ঘ ১ বছর পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে তাদের মধ্যে। প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে অভিযুক্ত এসআই শামসুল আরেফিন তোহা প্রায় সময় ভাড়া বাড়িতে যেতো। এছাড়াও প্রবাসীর স্ত্রী’কে নিয়ে কক্সবাজারের নানা জায়গায় ঘুরাঘুরি এবং হোটেলে রাত্রিযাপন করতো। এক পর্যায়ে তাদের এ সম্পর্ক পরিবারে জানাজানি হলে রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহা প্রবাসীর ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রবাসীর স্ত্রী’কে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দেশে ফিরেন এবং রামু থানার এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরোদ্ধে রামু আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা’র আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিটিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেয়ে তদন্তের রির্পোট জমা দেন আদালতে। আদালত অভিযুক্ত শামসুল আরেফিন তোহাকে আদালতে উপস্থিতির জন্য সমন জারি করেন। সমনের নোটিশ পাওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় শামসুল আরেফিন তোহার বিরোদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট আদালত।
বর্তমানে অভিযুক্ত এসআই শামসুল আরেফিন তোহা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। তার নিজ বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর চেচুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধৈলছড়ীর কেবি বাজার এলাকায়।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

উখিয়ায় মালিকবিহীন ১লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ!

রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা!

আপডেট সময়: ০৩:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সহিত ব্যভিচারে লিপ্ততা ও প্রবাসীর স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগে দায়েরকৃত ৭০২/২৩ মামলায় এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী।

জানা গেছে,২০২০ সালে পারিবারিক একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামু থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে পরিচয় হয়এসআই শামসুল আরেফিন তোহার সাথে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর।পরিচয় থেকে দানা বাঁধে পরকিয়া প্রেমের। দীর্ঘ ১ বছর পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে তাদের মধ্যে। প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে অভিযুক্ত এসআই শামসুল আরেফিন তোহা প্রায় সময় ভাড়া বাড়িতে যেতো। এছাড়াও প্রবাসীর স্ত্রী’কে নিয়ে কক্সবাজারের নানা জায়গায় ঘুরাঘুরি এবং হোটেলে রাত্রিযাপন করতো। এক পর্যায়ে তাদের এ সম্পর্ক পরিবারে জানাজানি হলে রামু থানার সাবেক এসআই শামসুল আরেফিন তোহা প্রবাসীর ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রবাসীর স্ত্রী’কে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দেশে ফিরেন এবং রামু থানার এসআই শামসুল আরেফিন তোহার বিরোদ্ধে রামু আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা’র আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিটিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেয়ে তদন্তের রির্পোট জমা দেন আদালতে। আদালত অভিযুক্ত শামসুল আরেফিন তোহাকে আদালতে উপস্থিতির জন্য সমন জারি করেন। সমনের নোটিশ পাওয়ার পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় শামসুল আরেফিন তোহার বিরোদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট আদালত।
বর্তমানে অভিযুক্ত এসআই শামসুল আরেফিন তোহা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। তার নিজ বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীর চেচুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধৈলছড়ীর কেবি বাজার এলাকায়।