০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

২৭১ নং তুমব্রু মৌজার হেডম্যান খাইং চাপু তংচংগ্যার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ০২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • 20

গত ২৩ এপ্রিল ২৫ইং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১নং তুমব্রু মৌজার হেডম্যান খাইন চাপু তংচংগ্যা  আমি তার “সৃজিত আকাশমনি বাগান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি” মর্মে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত ২০১৯ সালে ২৭১নং তুমব্রু মৌজা হেডম্যান এর মধ্যস্থতায় বাইশপাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের অং ক্ষু তংচংগ্যার পুত্র চৈতা চিং তংচংগ্যার কাছ থেকে আমি ১১ একর তৃতীয় শ্রেণীর পাহাড়ি জমি ক্রয় করি।

পরবর্তীতে বর্ণিত জায়গা একই এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল হকের পুত্র আবদুল জব্বার আমার ক্রয়কৃত জায়গার মালিকানা দাবী করিলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মৌজা হেডম্যানকে অবগত করিলে তা সমাধান করিবে মর্মে আমার সরলতার সুযোগে অনেকবার খরচ বাবদ আমার কাছ থেকে টাকাপয়সা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে জানতে পারি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে  ওই বিরোধীয় জায়গার দখলীয় মালিক হিসেবে হেডম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার কার্যালয়ের সিল মোহর যুক্ত কাগজে আব্দুল জব্বার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে ১০ একর তৃতীয় শ্রেণীর জমির প্রত্যয়ন প্রদান করে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ক্রয় করা জমি আব্দুল জব্বার গং জোরপূর্বক দখল করে আমার সৃজিত গাছপালা কেটে পেলে। এতে আমার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে জমি ক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী ও বিক্রয়কারীর কোন ধরণের সহযোগীতা না পাওয়াতে আমি ৩১ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। উক্ত অভিযোগ দুই দুই বার শুনানির ধার্য তারিখে হেডম্যান/বিবাদীগণ শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে মর্মে একটি লিখিত সময় আবেদনের মাধ্যমে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।

গত ১২ এপ্রিল আমি আমার বাগানে চারা লাগানোর জন্য আগাছা পরিষ্কার করতে আগুন দিলে পার্শ্ববর্তী হেডম্যানের বাগানে আগুনের হাল্কা তাপ লাগে, এতে কয়েকটি গাছের পাতা লালচে হয়ে যায়। তার বাগানের গাছের পাতা লাল হওয়াকে কেন্দ্র পূর্ব শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আমার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন বলে লোকে মুখে শুনেছি। এবং গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে “আমি তার বাগানে আগুন দিয়েছি বলে” অপপ্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে। মুলত মৌজা হেডম্যান তার বিরুদ্ধে  ২৩ এপ্রিল শুনানির ধার্য্য তারিখে হাসপাতাল যাচ্ছে মর্মে সময়ের আবেদন করে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা প্রশাসনের বিচারিক সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে, ও আমাকে হয়রানি করার কুমানসে শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে আমার বিরুদ্ধে উল্টো  মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

এছাড়াও তুমব্রু ২৭১ নং হেড্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ রয়েছে। তাই গতকাল হেডম্যানের মিথ্যাচারিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী: নুরুল বশর
পিতা: নুর আহমদ
তুমব্রু ২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন
নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

কুতুপালংয়ের হেলাল মেম্বার: নিজ উদ্যোগে চলাচল উপযোগী করলেন গ্রামীণ রাস্তা!

২৭১ নং তুমব্রু মৌজার হেডম্যান খাইং চাপু তংচংগ্যার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

আপডেট সময়: ০২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

গত ২৩ এপ্রিল ২৫ইং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১নং তুমব্রু মৌজার হেডম্যান খাইন চাপু তংচংগ্যা  আমি তার “সৃজিত আকাশমনি বাগান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছি” মর্মে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত ২০১৯ সালে ২৭১নং তুমব্রু মৌজা হেডম্যান এর মধ্যস্থতায় বাইশপাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের অং ক্ষু তংচংগ্যার পুত্র চৈতা চিং তংচংগ্যার কাছ থেকে আমি ১১ একর তৃতীয় শ্রেণীর পাহাড়ি জমি ক্রয় করি।

পরবর্তীতে বর্ণিত জায়গা একই এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল হকের পুত্র আবদুল জব্বার আমার ক্রয়কৃত জায়গার মালিকানা দাবী করিলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মৌজা হেডম্যানকে অবগত করিলে তা সমাধান করিবে মর্মে আমার সরলতার সুযোগে অনেকবার খরচ বাবদ আমার কাছ থেকে টাকাপয়সা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে জানতে পারি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে  ওই বিরোধীয় জায়গার দখলীয় মালিক হিসেবে হেডম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার কার্যালয়ের সিল মোহর যুক্ত কাগজে আব্দুল জব্বার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে ১০ একর তৃতীয় শ্রেণীর জমির প্রত্যয়ন প্রদান করে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ক্রয় করা জমি আব্দুল জব্বার গং জোরপূর্বক দখল করে আমার সৃজিত গাছপালা কেটে পেলে। এতে আমার প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে জমি ক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী ও বিক্রয়কারীর কোন ধরণের সহযোগীতা না পাওয়াতে আমি ৩১ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। উক্ত অভিযোগ দুই দুই বার শুনানির ধার্য তারিখে হেডম্যান/বিবাদীগণ শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে মর্মে একটি লিখিত সময় আবেদনের মাধ্যমে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।

গত ১২ এপ্রিল আমি আমার বাগানে চারা লাগানোর জন্য আগাছা পরিষ্কার করতে আগুন দিলে পার্শ্ববর্তী হেডম্যানের বাগানে আগুনের হাল্কা তাপ লাগে, এতে কয়েকটি গাছের পাতা লালচে হয়ে যায়। তার বাগানের গাছের পাতা লাল হওয়াকে কেন্দ্র পূর্ব শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আমার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন বলে লোকে মুখে শুনেছি। এবং গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করে “আমি তার বাগানে আগুন দিয়েছি বলে” অপপ্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে। মুলত মৌজা হেডম্যান তার বিরুদ্ধে  ২৩ এপ্রিল শুনানির ধার্য্য তারিখে হাসপাতাল যাচ্ছে মর্মে সময়ের আবেদন করে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা প্রশাসনের বিচারিক সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে, ও আমাকে হয়রানি করার কুমানসে শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে আমার বিরুদ্ধে উল্টো  মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

এছাড়াও তুমব্রু ২৭১ নং হেড্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ রয়েছে। তাই গতকাল হেডম্যানের মিথ্যাচারিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী: নুরুল বশর
পিতা: নুর আহমদ
তুমব্রু ২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন
নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।