
শ.ম.গফুর…✍️ কক্সবাজার বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন(৩৪বিজিবি) হবে সীমান্তের নিরাপদ ও আস্থার প্রতীক।বহি:শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দিবারাত্রি নির্ঘুম সময় পার করছে বিজিবি’র জোয়ানেরা।তাদের বিশ্রাম নেই,তেমনি দায়িত্ব পালনের ঘাটতিও নেই।সীমান্তের মানুষ ভালো থাকুক, নির্ভয়ে থাকুক, শংকামুক্ত থাকুক এমনটি কামনা করে প্রহরায় নিয়োজিত আছেন বিজিবি।দেশ রক্ষা ও সীমান্তের মানুষের কল্যাণে বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক-চোরাচালান নির্মুলে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।সংসার,ঘরবাড়ির মায়া ত্যাগ বিজিবি’র সদস্যরা দেশ ও সীমান্তের নিরাপত্তায় কাজ করছে।মাদক নির্মুলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।আপনাদের সহযোগিতায় মাদকমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে চাই।আপনাদের বুঝাতে হবে মাদকের কুফল সম্পর্কে। বুঝিয়ে মাদক কারবার থেকে ফেরাতে না পারলে বিজিবি’কে গোপনে খবর জানাতে হবে। ৩৪ বিজিবি’র অধিনস্থ এলাকা আমরা মাদক মুক্ত করতে চাই।সীমান্ত এলাকার জন সাধারণের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনতে চাই।আপনারা নির্দ্ধিধায় বিজিবি’র নিকট সুবিধা -অসুবিধার কথা জানাতে পারেন।সংশয়ের কারণ নেই।
২১ মে (বুধবার)কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন(৩৪ বিজিবি)’র অধিনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়া বিওপিস্থ জনসচেতনতা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ৩৪ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার(সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম খায়রুল আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।তিনি আরোও বলেছেন,
সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদকপাচার, চোরাচালান, গরু পাচার ও অনুপ্রবেশ রোধে সর্বোচ্চ সর্তক পাহারায় রয়েছে বিজিবি।সীমান্তের মানুষ যেনো নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে, তার জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছে ৩৪ বিজিবি’র সদস্যরা। বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারা দেয় না, মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
বক্তব্য শেষে ৩৪ বিজিবি’র পক্ষ থেকে রেজুপাড়া বিওপি এলাকার একটি মাদ্রাসা, একটি বুড্ডিস্ট কেয়াং ও দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নগদ অর্থ-সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ, ক্রীড়া সামগ্রী ও ধর্মীয় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এসময় ৩৪ বিজিবি’র এডি,বিওপি কমান্ডার, সাংবাদিক, শিক্ষক, আলেম, ধর্মীয় নেতা সহ এলাকার বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।