মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:: কোরবানিকে ঘিরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নিজেদের ঘরে পালিত গরু নিয়ে হাটে এসেছে স্থানীয় খামারিরা।
কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় নিজেদের পছন্দের গরু ক্রয় করে নিচ্ছে ক্রেতারা। শহরের বালাঘাটা কালাঘাটা ও রাজার মাঠ এলাকায় একদিন পর পর বসছে পশুর হাট।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কোরবানিকে ঘিরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট।
প্রতিবছর কোরবানিতে জেলা শহরে বেশ কযেকটি হাট বসলেও এবার টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পশু নিয়ে হাটে আসেনি খামারিরা। কিন্তু কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে হাটে। পাহাড়ি জেলা হওয়ায় শুধুমাত্র বিভিন্নপাড়ায় নিজেদের ঘরে পালিত দেশি গরু বিক্রি হয় এ হাটে।
৫০ হাজার থেকে শুরু করে রয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা দামের গরু পাওয়া যাচ্ছে হাটে। বাজেট অনুযায়ী পছন্দের গরু ক্রয় করতে পেরে খুশি ক্রেতারা অন্যদিকে চাহিদামত দাম পাওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও।
স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট জিয়া,সাহাব উদ্দিন, শেখ আলাউদ্দিন বলেন, ‘গরুর দাম মোটামুটি মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে বেশিও না কমও না। একটু দর দাম করে নিতে হয়। আর কোনো ঝামেলা না থাকায় স্বাচ্ছন্দে ঘুরে ঘুরে পশু ক্রয় করতে পারছে ক্রেতারা। বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল নোট সনাক্তের জন্য কাজ করছে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বান্দরবান রাজার মাঠ পশুর হাট ইজারা কমিটির আহ্বায়ক মো: জিয়া, ও আকবর হোসেন মুন্না জানান, এখানে কোনো ঝামেলা নেই হাটে পশু কেনাবেচায় কেউ যাতে হয়রানির স্বীকার না হয়।
সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও আছে।সুন্দরভাবে পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কারো কোনো অভিযোগ নেই।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।