নিজস্ব প্রতিবেদক:: উখিয়ার বালুখালীতে যুবদল নেতা অপহ্নতের দায়ের করা মামলায় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি)চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী'কে প্রধান আসামী করে হয়রানী করার প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে পালংখালী ইউনিয়নের জনসাধারণ। ১১ জুন বিকেলে থাইংখালীস্থ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও ঝাড়ু নিয়ে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে পরিণত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী হাজেরা খাতুন,খোরশেদা বেগম,জান্নাত আরা,কুলসুমা বেগম, নুর আয়েশা, মোহসেনা আক্তার, সবিতা বেগম, হালিমা খাতুন, জোবেদা খাতুন, রোজিনা আক্তার, রাবেয়া বেগম সহ অনেকে এক বাক্যে বলেন, ইউপি'র চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে ১৭ বছরে বহু মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হন।২০১১ সালে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।আমরা হাজার-হাজার জনতা বিজয় রক্ষা করতে রাস্তায় নেমে পড়ি।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি খেয়েছি।বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি।এভাবে গরীব দু:খি মানুষের প্রত্যক্ষ ভোটে টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গফুর উদ্দিন চৌধুরী।সেই থেকে ষড়যন্ত্রের শেষ নেই।এখন কোন দলীয় সরকার নেই।নিরপেক্ষ সরকারের আমলেও কেনো মিথ্যা মামলার শিকার হবে? কেনো হয়রানী করবে।গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলা সাজানো।এই মামলা প্রত্যাহার চাই।গফুর উদ্দিন চৌধুরী'কে ধরে নিতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে নিতে হবে।আগে আমরা পালংখালীর মানুষ লাশ হবো,তারপর গ্রেফতার করতে পারবেন।আমাদের চেয়ারম্যানের জন্য জান দিতে রাজি আছি।আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে উক্ত সাজানো ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।আর অপহ্নত যুবক'কে প্রকৃত যারা অপহরণ করেছে বা এই কাজে সম্পৃক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।গফুর উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রতিবাদী মানুষ। গরীবের সেবক।সে এমপি নির্বাচন করবে ঘোষণা দেওয়ায় নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।গফুর উদ্দিন অপহরণ কান্ডে জড়িত নয়।তাকে হয়রানী করা মানে পুরো পালংখালীবাসীকে হয়রানী করা।পরিষদের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত করা।
উক্ত প্রতিবাদ মিছিল,মানববন্ধন ও মিছিলে এলাকার মো: আলী, রশিদ,মুন্না, শাকিল, রবি, বাহাদুর, মোহাম্মদ হোছন, নুরুল আমিন,
শাহাবুদ্দিন, ইব্রাহিম, আজিজ, জলিল সহ অনেকেই নেতৃত্ব দিয়ে ইউনিয়ন কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।