
নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া:: উখিয়া-টেকনাফে বিজিবি’র পৃথক অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১শত ৯২ ক্যান বিদেশী বিয়ার উদ্ধার এবং দুইজন’কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।১৭জুন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি।জানা গেছে ১৬ জুন দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪(বিজিবি)’র মেরিন ড্রাইভ চেকপোস্টে দায়িত্বরত জওয়ানেরা যানবাহন তল্লাশী চালিয়ে ১৯২ক্যান বিদেশী বিয়ারসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।কক্সবাজার হতে টেকনাফগামী একটি প্রাইভেট কারযোগে মাদকের চালান পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইমামের ডেইল অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বরত জওয়ানেরা গাড়িটি চেকপোস্টের নিকট আসলে কর্তব্যরত বিজিবি’র সদস্যগণ গাড়িটি তল্লাশীর জন্য থামান। বিজিবি টহল দল তল্লাশীকালে আরোহী টেকনাফের কলেজ পাড়ার ফজল করিমের পুত্র আব্দুল হামিদ(২৬) এবং মোঃ হোছনের পুত্র মোঃ ইউনুস (২৮)’র নিকট রক্ষিত লাল ও সবুজ রঙ্গের ২টি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে ১৯২ক্যান বিয়ারসহ আটক করা হয়। ধৃত আসামীগণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, উল্লিখিত বিয়ার কক্সবাজার হতে ক্রয় করতঃ টেকনাফে বেশী দামে বিক্রেয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।
এ ব্যাপারে উখিয়া ৬৪বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (পিএসসি) জানান,আসামীসহ উদ্ধারকৃত বিয়ার থানায় জমা ও ধৃতদের সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে ১৭ জুন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)’র পরিচালিত বিশেষ অভিযানে
১ লাখ ১০ হাজার পিস ট্যাবলেট পাচারের সময় জব্দ করা হয়েছে।সোয়া একটার দিকে হ্নীলা আদমের জোড়া, নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়ি বাঁধ দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়। যার প্রেক্ষিতে, অধীনস্থ লেদা বিওপি এবং নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প হতে একাধিক টহলদলকে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত স্থানে মোতায়েন করা হয়। গভীর রাতে দুইজন ব্যক্তিকে চুপিসারে সন্দেহজনক ভাবে বেড়িবাঁধ অতিক্রমের চেষ্টা করতে দেখা গেলে পাচারকারী সন্দেহে তাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে,তারা নদীর তীরের জলমগ্ন কেওড়া জঙ্গলে ঢুকে যায়।পরবর্তীতে, অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ানের (২ বিজিবি) নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা সম্পূর্ণ এলাকা অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ সময় তল্লাশী শেষে কেওড়া জঙ্গল, নদীর তীর এবং তৎসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া কর্দমাক্ত অবস্থায় দুইটি (বিশেষভাবে মোড়কজাত) বস্তার ভিতর হতে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে, এ ঘটনায় কোন অপরাধীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন(২ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি বলেন,১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।