
মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:: “পরিকল্পিত বনায়ন করি,সবুজ বাংলাদেশ গড়ি ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণ্যাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে সমাপ্ত হল সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা- ২০২৫।
বুধবারে (৩০জুলাই) বিকেলে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মিজ শামিম আরা রিনি।
পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগ বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.তহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ, বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো.আসিফ রায়হান,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, মাছরাঙা প্রতিনিধি কৌশিক দাশ গুপ্তা, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী, সাংবাদিক মো: শফিক, মো:তুহিন হোসেন, ওসমান গনি,মো: ইসমাইল, মো: তামজিদ সাইফুল্লাহ, সুফল চাকমা,মো:আসমত, বান্দরবান সদর রেঞ্জার মো: শামসুল হক,পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগ সদর রেঞ্জার মো:আরিফুল আলম, টংকাবতি রেঞ্জার মো: রাফি উদ দৌলা’সহ বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জের কর্মকর্তা- কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃক্ষ মেলায় স্টল প্রদর্শনীতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বিএডিসি প্রতিষ্ঠান পুরুষ্কার গ্রহন করেন এগ্রিকালচার বিএডিসি প্রতিষ্ঠানের উপসহকারী পরিচালক নাজিব কুমার তংচঙ্গা, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে পুনাক, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেরা নার্সরী হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন আজমীর নার্সারী, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বিন্দু নার্সারী তৃতীয় স্থান অধিকার করেন লামা নার্সারী। এছাড়াও বৃক্ষ মেলা উপলক্ষে ছবি অংক প্রতিযোগিতায়
বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, আমাদের সকলকে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপন করতে হবে, আর তার সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য বৃক্ষরোপনের বিকল্প কিছুই নেই। বক্তারা আরো বলেন, যে কোন গাছ বড় হলে ও বয়স হলে অবশ্যই তাকে কর্তন করতে হবে, তবে শুন্যস্থানে আবার নতুনভাবে বৃক্ষ লাগাতে হবে। বর্ষার এসময় আরো অধিক বৃক্ষরোপনের ওপর জোর দিয়ে বক্তারা সুজলা সুফলা বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধ করতে সকলকে বৃক্ষরোপনে মনোনিবেশ করার আহবান জানান। এবারের মেলায় ফলজ, বনজ ও ওষধিসহ বিভিন্ন রকমের চারা নিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল মেলায় অংশ নেন।