০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উখিয়ার সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন’কে কারো ষড়যন্ত্রে মাদক মামলায় পলাতক আসামী করা হয়েছে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত অধিকতর তদন্ত দাবি…

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়: ১২:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 1

➤নিজস্ব প্রতিবেদক:: উখিয়ার তরুণ সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন প্রকাশ সেলিম।সে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার উখিয়াস্থ সীমান্ত প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।এছাড়াও কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমেও কাজ করছেন।পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত একটি এনজিও সংস্থায় চাকরী করে স্ত্রী,এক সন্তান ও বাবা’কে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।মাসিক যে বেতন পান, তা দিয়ে টানাপোড়েনের সংসার তার।কোন সহায় সম্পদ ও সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই।আছে ধারদেনা।স্থানীয় ভাবে জানামতে কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতিকর নয় সংবাদকর্মী সেলিম।

তথ্যমতে, গত ০৬/০৯/২০২৫ ইংরেজি তারিখ সন্ধ্যায় উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ায় র‍্যাব-১৫’র একটি দল যুবদল নেতা জনৈক হেলাল উদ্দিনের বসত বাড়িতে অভিযান চালান।অভিযানে ৮৯ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা, নগদ ১৬ লাখ ৭০ সহস্রাধিক টাকা সহ শ্বাশুড়ী-পুত্রবধু গ্রেফতার হাতেনাতে গ্রেফতার হয়।পরদিন র‍্যাব-১৫ কর্তৃপক্ষ’র প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি’র বরাতে প্রায় প্রিন্ট ও অনলাইনে ভাইরাল সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।তথ্যবহুলে ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দুই নারী হাতেনাতে আটক এবং বাড়ির মালিক ও ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ত হেলাল উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন ও মহিউদ্দিন পালিয়ে যায় মর্মে সংবাদে প্রকাশিত হয়।ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার দুই নারী’কে উখিয়া থানায় সোপর্দ করত:মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়।উখিয়া থানার মামলা নং-২১/২৫, তারিখ-০৭/০৯/২০২৫ ইংরেজি।

মামলার এজাহারে দুইজন গ্রেফতার ও ৭পলাতক আসামী দেখানো হয়।এতে ৮নং এজাহার নামীয় আসামী হিসেবে সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিনের নাম পাওয়া যায়।মাদক মামলায় পলাতক আসামী হিসেবে সেলিম উদ্দিনের নাম দেখে সে,তার পরিবার, এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে বিষ্ময় সৃষ্টি হয়। সেলিম উদ্দিন করে কি আর মামলায় কিভাবে আসামী হলো তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে জনমনে।

আসলে ওইসব ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কোন অবস্থাতে জড়িত নয় বলে জানান সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন।সেলিম, তার পেশার সহকর্মী এবং এলাকাবাসী’র দাবি সেলিম উদ্দিন কি নাম বিভ্রাটের শিকার? নাকি কোন মহল বা গোষ্ঠীর কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার?নাকি সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি বিশেষ’র আক্রোশের শিকার হয়েছেন?যেহেতো সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন বিএনপি পরিবারের সন্তান হলেও ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সমর্থক ছিলেন।কিন্তু কারো ক্ষতি করার মত সাধ্য বা ক্ষমতা তার ছিলনা।সেলিম উদ্দিনের দাবি তাকে নাম বিভ্রাট করে পরিকল্পিত হয়রানির শিকার করতে মিথ্যাভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন’কে মামলায় জড়ানোই সংবাদকর্মী ও এলাকার ন্যায়পরায়ন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান, সকল গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানগণ, র‍্যাব প্রধান সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি করুন আর্জি উক্ত মামলার ৮ নং আসামী সেলিম উদ্দিনের ব্যাপারে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত প্রকাশ্য-গোপনে অধিকতর তদন্ত দাবি করে তাকে উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি দানের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের আন্তরিক সদিচ্ছা কামনা করেছেন।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

উখিয়ার সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন’কে কারো ষড়যন্ত্রে মাদক মামলায় পলাতক আসামী করা হয়েছে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত অধিকতর তদন্ত দাবি…

উখিয়ার সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন’কে কারো ষড়যন্ত্রে মাদক মামলায় পলাতক আসামী করা হয়েছে, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত অধিকতর তদন্ত দাবি…

আপডেট সময়: ১২:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

➤নিজস্ব প্রতিবেদক:: উখিয়ার তরুণ সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন প্রকাশ সেলিম।সে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার উখিয়াস্থ সীমান্ত প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।এছাড়াও কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমেও কাজ করছেন।পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত একটি এনজিও সংস্থায় চাকরী করে স্ত্রী,এক সন্তান ও বাবা’কে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।মাসিক যে বেতন পান, তা দিয়ে টানাপোড়েনের সংসার তার।কোন সহায় সম্পদ ও সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই।আছে ধারদেনা।স্থানীয় ভাবে জানামতে কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতিকর নয় সংবাদকর্মী সেলিম।

তথ্যমতে, গত ০৬/০৯/২০২৫ ইংরেজি তারিখ সন্ধ্যায় উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ায় র‍্যাব-১৫’র একটি দল যুবদল নেতা জনৈক হেলাল উদ্দিনের বসত বাড়িতে অভিযান চালান।অভিযানে ৮৯ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা, নগদ ১৬ লাখ ৭০ সহস্রাধিক টাকা সহ শ্বাশুড়ী-পুত্রবধু গ্রেফতার হাতেনাতে গ্রেফতার হয়।পরদিন র‍্যাব-১৫ কর্তৃপক্ষ’র প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি’র বরাতে প্রায় প্রিন্ট ও অনলাইনে ভাইরাল সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।তথ্যবহুলে ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দুই নারী হাতেনাতে আটক এবং বাড়ির মালিক ও ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ত হেলাল উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন ও মহিউদ্দিন পালিয়ে যায় মর্মে সংবাদে প্রকাশিত হয়।ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার দুই নারী’কে উখিয়া থানায় সোপর্দ করত:মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়।উখিয়া থানার মামলা নং-২১/২৫, তারিখ-০৭/০৯/২০২৫ ইংরেজি।

মামলার এজাহারে দুইজন গ্রেফতার ও ৭পলাতক আসামী দেখানো হয়।এতে ৮নং এজাহার নামীয় আসামী হিসেবে সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিনের নাম পাওয়া যায়।মাদক মামলায় পলাতক আসামী হিসেবে সেলিম উদ্দিনের নাম দেখে সে,তার পরিবার, এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে বিষ্ময় সৃষ্টি হয়। সেলিম উদ্দিন করে কি আর মামলায় কিভাবে আসামী হলো তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে জনমনে।

আসলে ওইসব ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কোন অবস্থাতে জড়িত নয় বলে জানান সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন।সেলিম, তার পেশার সহকর্মী এবং এলাকাবাসী’র দাবি সেলিম উদ্দিন কি নাম বিভ্রাটের শিকার? নাকি কোন মহল বা গোষ্ঠীর কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার?নাকি সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি বিশেষ’র আক্রোশের শিকার হয়েছেন?যেহেতো সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন বিএনপি পরিবারের সন্তান হলেও ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সমর্থক ছিলেন।কিন্তু কারো ক্ষতি করার মত সাধ্য বা ক্ষমতা তার ছিলনা।সেলিম উদ্দিনের দাবি তাকে নাম বিভ্রাট করে পরিকল্পিত হয়রানির শিকার করতে মিথ্যাভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সংবাদকর্মী সেলিম উদ্দিন’কে মামলায় জড়ানোই সংবাদকর্মী ও এলাকার ন্যায়পরায়ন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান, সকল গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানগণ, র‍্যাব প্রধান সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি করুন আর্জি উক্ত মামলার ৮ নং আসামী সেলিম উদ্দিনের ব্যাপারে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত প্রকাশ্য-গোপনে অধিকতর তদন্ত দাবি করে তাকে উক্ত মামলা হতে অব্যাহতি দানের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের আন্তরিক সদিচ্ছা কামনা করেছেন।